Porn Evaluation Of Bangladesh

Quazi Md Aldin Fardin
6 min readDec 1, 2022

নব্বই দশকের পোলাপান — পর্দায় যে একটা ন্যুড ফিমেইল বডি দেখা যাইতে পারে, এই আইডিয়া (মনে হয়) প্রথম পাইছিলো টাইটানিক ছবিতে।

ডিশের লাইনে পাওয়া এফটিভি চ্যানেলের স্বচ্ছ পোশাকের মডেলদের ক্যাটওয়াক — এই আগুনে ঘি ঢালতে পারছিলো সামান্যই। রোকো সিফ্রেডি অভিনীত “টারজান এক্স” নামে একটা ভিনটেজ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের জেনারেশনের বেশির ভাগ পোলাপানের প্রথম পর্নে হাতেখড়ি হইছিলো।

তবে ইতিহাস ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে যদি একটু পিছে যান, আপনি দেখবেনঃ ইন্ডিয়া বাংলাদেশে পর্ন এবং পর্নের ভাইবোন গোত্রীয় বিষয়াদির কনজিউমার সারাজীবনই ছিলো।

প্রথমে ধরেন, সাহিত্যে কিছু এস্থেটিক এবং মোলায়েম যৌন সুড়সুড়ি। এরপর কায়দা করে মাসুদ রানা টাইপের গোয়েন্দা কাহিনীতে সুন্দরী সোহানার আগমন। আস্তেধীরে রসময় গুপ্ত, কিছুটা কমপ্লেক্স চটি। মানে ঘাপাঘাপ সেইখানে থাকতো, তবে আস্তে ধীরে, কাহিনীর মধ্য দিয়ে আগাইতো ব্যাপারটা।

বাংলা চটির একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইলো — কিছু শব্দ আছে, যেইগুলা আপনি বাংলা চটি বাদে এই দুনিয়াতে অন্য কোথাও পাবেন না। যেমন ধরেনঃ ডবকা, তলঠাপ — এইসব শব্দের অস্তিত্ব (মনে হয়না) এক বাংলা চটি বাদে দুনিয়ার আর কোথাও আছে।

এলং দ্যা লাইন, চটি স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড হয়ে যাওয়া শুরু করলো। মানে, রসময় যুগে যেমন চাচাতো বোন বাড়িতে আসতো, তার দেহের এবং পোশাকের কিছু বর্ণনা থাকতো। তারপর কোনো এক মধ্য দুপুরে বাড়িতে কেউ থাকতো না। এরপরে প্রেম হতো, আরও কাহিনী পাকাইতে পাকাইতে শেষ পর্যায়ে গিয়ে স্ক্রু টাইট দেয়ার ক্লাইম্যাক্স অবতারণা হইতো।

আজকের দিনে পর্ন অনেকটা ধর তক্তা, মার পেরেক স্টাইলে অপারেট করে। বাড়িতে কাঠমিস্ত্রি আইসা উইদাউট এনি গুড রিজন — বাড়ির মালকিনের সাথে শুরু কইরা দেয়। আগে মশলা কষানোর সময় অনেক বেশি ছিলো। মেইন পয়েন্টে আসতে অনেক দেরি হইতো।

নীলক্ষেত — এসেনশিয়ালি, বাংলাদেশকে পড়ালেখা শেখাইছে এবং পর্ন দেখা শেখাইছে। নিউমার্কেট ওভারব্রিজের নিচে ফুটপাথ ধরে যাওয়ার সময় “মামা লাগবো নাকি নিয়া যান, অরিজিনালডা আছে” — জোরে বলেন, এই আহবান মনে আছে নাকি নাই?

সাইবার ক্যাফে এবং ইন্টারনেট এসে সেইসব পাইরেটেড সিডির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মামাদের ব্যবসায় লালবাতি জ্বালায় দিছে, কিন্তু এই আনসাং হিরোদের অবদানটা আপনাকে স্মরণে রাখতে হবে। বাংলা ছবির কাটপিস গরম মশলা, সাউথ ইন্ডিয়ার সি-গ্রেড সিল্ক স্মিতা টাইপের মোটা নায়িকাদের দলা-মোচড়া থেকে পাকিস্তানি মুজরা, এনারা দায়িত্ব সহকারে বাংলাদেশকে সাপ্লাই দিয়েছেন।

আজকের দিনে আপনার হাতে সাইট স্ক্রল করে পর্ন চয়েজের অপশন আছে। আগের আমলে ছিলোনা। মামা সিডি ধরায় দিতো, বাসায় আসার পরে ঝড়ে-বক সিডি চলতেও পারে, নাও পারে। সিডির ভিতরে কী জিনিস আছে, আগে থেকে বোঝার কোনো উপায়ই ছিলোনা।

এরপর আসলো মোবাইলে ওয়াপট্রিক থেকে ডাউনলোড করা থ্রিজিপি ঝিরঝিরা ভিডিওর যুগ, ধরেন সময়টা ২০০৭ মতো হবে। ব্লুটুথের মাধ্যমে পর্ন শেয়ারিং তখন জনপ্রিয় ছিলো। ফাস্ট ইন্টারনেট তখন কেবল আসি-আসি করছে। টরেন্ট থেকে তিরিশ জিবি, পঞ্চাশ জিবি ডাউনলোড করা হার্ডডিস্কের পার্সোনাল ফোল্ডার তখন ফ্রেন্ডদের মধ্যে শেয়ার হতো।

তারও অনেক পরে — যখন মোবাইলের স্ক্রিন বড় হওয়া শুরু করলো, তখন থেকে সম্ভবত ব্যাপারটা সারফেসের ওপরে ভেসে ওঠা শুরু করে। প্রফেশনাল পর্ন এক্টরদের সাথে “পাশের বাড়ির মেয়ে” ব্যাপারটার যে একটা দুর্দান্ত পার্থক্য আছে, এবং এই মোবাইল ক্যামেরার বদৌলতে যে সেই মেয়ের অন্তর্বাসের ভেতরে আপনি উঁকি মারতে পারছেন — মনে হয়না এই জিনিস এর আগে কেউ কোনোদিন কল্পনা করেছে।

২০১০ সালে একটা টার্নিং পয়েন্টের মতো বিশাল বোমা ফাটলো। অনলাইনে লিক হলো অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা আর তার প্রেমিক রাজীবের এক সেক্স টেপ। ওই একটা ভিডিও, আমার বিশ্বাস — বাংলাদেশের “নিষিদ্ধ” জগৎ আর “অনুমোদিত” জগতের মধ্যকার পর্দাটাকে এক ঝটকায় ভেঙে দিলো।

এমন না যে ওইরকম পার্সোনাল ভিডিও এর আগে আর কোথাও লিক হয়নি। তবে, প্রভা ওই সময়কার খুবই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ওই টেপ লিক হওয়ার ব্যাপারটা — সবার সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার করে দিলো যেঃ মোবাইলে এইসব ভিডিও রেকর্ড করাটা একটা ইজি ব্যাপার। এটা হতেই পারে, আপনিও করতে পারেন।

সো, লেট’স ডু ইট!

আজকের দিনে উপমহাদেশীয় পর্ন ব্যাপারটা যেখানে দাঁড়ায় আছে, সেইটা এতোই বেশি ডায়নামিক, যে এইটার কূল-কিনারা করাটা মুশকিল, তারপরেও আমি আমার কিছু অবজারভেশন শেয়ার করি।

আপনারা জানেন যেঃ শিল্পা শেঠীর হাজবেন্ড রাজ কুন্দ্রা — ইন্ডিয়া ভিত্তিক এইরকম পর্ন র‍্যাকেট চালাইতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। কেইস খুব সামান্য। ফিল্মে অভিনয়ের কথা বলে মেয়েদের সাইন করানো হতো। প্রথম ব্রেক পাওয়ার আনন্দে মেয়ে ঠিকঠাক কন্ট্রাক্ট না পড়েই হয়তো রাজিও হয়ে যেতো।

এরপর ফিল্মের সেটে গিয়ে মেয়ে দেখতো কাহিনী পুরাই চেঞ্জ। তারে “সাহসী” দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে। এই কাজ না করলে শুটিং ইউনিটের যাবতীয় লোকসানের টাকা তার ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেয়া লাগবে। এই ব্ল্যাকমেইলের খপ্পড়ে পড়ে অনেক মেয়ে বাধ্য হয়েছে এই কাজ করতে, এবং তাদেরই একটা অংশ ব্যাপারটাকে সামনে নিয়ে এসেছে।

ফ্যাক্ট অফ দ্যা ম্যাটার ইজঃ এই রাজ কুন্দ্রা লোকটা একটা শূন্যস্থানকে আইডেন্টিফাই করতে পেরেছে। গাদাগাদি করে থাকা ছোট কমিউনিটির একটা সাইকোলজিক্যাল সমস্যা হইলো, এরা সেক্সুয়ালি কাউকে ফ্যান্টাসাইজ করার ক্ষেত্রে খুব বেশিদূর যাইতে পারেনা।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বউরে যে নিজের বিছানাতে ফ্যান্টাসাইজ করা যাইতেই পারে, ওই মাত্রা পর্যন্ত ইন্ডিয়ান বা বাঙালিদের কল্পনা পৌঁছাবেই না। আমাদের লিমিট পাশের বাসার ভাবী। খালাতো বোন। পাটক্ষেত। একই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ার মেয়ে — মানে নিজের “কল্পনা করার যোগ্যতার” আন্ডার-এস্টিমেশনের সর্বোচ্চ পর্যায়।

কল্পনা আপনি যে কাউকেই করতে পারেন, এবং সেইটা এবসলিউটলি হার্মলেস। তো, সেইখানে আপনার লিমিট ব্রিটেনের রাণী কেন হইতে পারবে না? আপনি খেয়াল করবেন, সাউথ ইন্ডিয়া যেহেতু চিন্তা-চেতনায় আমাদের থেকে হাজারগুণ আগায়ে, তারা এই শূন্যস্থানটা বহু আগেই বুঝতে পেরে, রাজ্জাক-কবরী আমল থেকে সফটকোর পর্ন বানিয়ে আসছে।

রাজ কুন্দ্রা — এই শূন্যস্থানটাকেই একটা সিস্টেমেটিক ওয়েতে ব্যবসার মধ্যে নিয়ে আসার একটা চেষ্টা চালিয়েছিলো। হটশট নামে একটা অ্যাপ বানিয়েছিলো, সেখানে পয়সা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে, হাই রেজোলিউশনে এইসব ভিডিও দেখা যেতো।

এর আগে যা ছিলো, মানে প্রেমিকের ছেড়ে দেয়া গোপন ভিডিও ইত্যাদি সবকিছুরই পিকচার কোয়ালিটি ছিলো খারাপ, অন্ধকার। ক্যামেরা ভূমিকম্পের মতো কাঁপতো, এবং সেগুলা ছিলো নবিশ টাইপের এমেচার ভিডিও। ওইটাকেই সিস্টেমেটিক বানাতে চেয়েছিলো রাজ কুন্দ্রা।

ইন্ডিয়া মোটাদাগে এইসব সফটকোর পর্নের ব্যাপারে সারাজীবনই উদাসীন ছিলো। চোখের সামনেই এগুলো চলতো, কেউ কোনো কেয়ার করতো না। চাহিদা থাকলে উৎপাদন হবেই, কিছুই করার নাই। শুনলে চোখ কপালে উঠে যায়, পুনম পাণ্ডে — জাস্ট কাপড় খুলে ভিডিও বানিয়ে ছত্রিশ কোটি টাকা কামিয়েছে। মানুষের ইতিহাস যতোদিনের, বেশ্যাবৃত্তির ইতিহাস তার চেয়েও বেশি পুরানো।

আজকের দিনেও টিনা নন্দী, পুনম পাণ্ডে, শেরলিন চোপড়া, গডেস এনা, স্যাশি পুনম, ঐশী দাস, জিলস মোহন, শিখা সিনহা — এই টাইপের হাজার হাজার ইন্ডিয়ান মেয়ে আছে অনলি ফ্যানসে, যারা পয়সা দিলে স্বেচ্ছায় কাজ করে দিবে।

এই জায়গাতেই ব্লান্ডার করে ফেলছিলো রাজ কুন্দ্রা। স্বেচ্ছায় কিছু করা, আর ব্ল্যাকমেইল করে কিছু করানোর মধ্যে যে আকাশ-পাতাল ডিফারেন্স, এই সহজ কনসেন্টের জায়গাতে এই লোকটা মহা ব্লান্ডার করে ফেলেছে। যে বিষয়টা খুব সহজেই একটা সিস্টেমেটিক প্রসেসের মধ্য দিয়ে একটা ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করে ফেলতে পারতো, সেই জায়গাটাই নষ্ট করে ফেলেছে এই লোকটা।

বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে কিন্তু এই মেয়েরা আসে। কেউ সিঙ্গেল মাদার। কেউ ফ্যামিলির দায়ে। কেউ সিমপ্লি শো-অফ। কেউ জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য। কেউ জাস্ট কাপড় খুলে মানুষকে টিজ করে মজা পায়। আমাদের বাংলাদেশেরই একটা মেয়ে আছে দিবামণি নামে, ইন্সটাগ্রামে রেগুলার কাপড় খোলে ফ্রি অফ কস্ট।

এদেরকে কি এই রাজ কুন্দ্রা চোখে দেখে নাই? নাকি টিপিক্যাল উপমহাদেশীয় পুরুষের মতো এই লোক মেয়েদের সাথে ব্যাটাগিরির ক্ষমতা দেখাইতে গিয়ে এই কাজ করেছে? কী মনে হয় আপনার?

ইন্ডিয়ান পর্নের মধ্যে একটা কমন জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি। আপনারা দেখলে আপনারাও স্বীকার করবেনঃ মেয়ে পারফর্মারদের মধ্যে কেমন যেন এনার্জির অভাব, প্রাণশক্তির অভাব। বিদেশি পর্নে যেমন মেয়েরা এনার্জি এবং কনফিডেন্সের সাথে পারলে খাট ভাইঙ্গা দশ টুকরা কইরা ফেলে, ওরা কীভাবে পারে?

ওরাও যে সবাই খুব আগ্রহের জন্য পর্ন লাইনে আসছে, এমন তো না। সারকামস্টেন্স সবারই আলাদা। এই মোটাদাগের জেনারেল বিচারটাকে স্বীকার করেই খেয়াল করবেনঃ ইন্ডিয়ান পর্নের মেয়েরা — নড়ে তো চড়েনা, নিতান্ত অনাগ্রহে, কুতায়া কুতায়া কিছু একটা করা লাগবে তাই করতেছে, কোনো আগ্রহ নাই, এনার্জি নাই, একটিভ অংশগ্রহণ নাই।

হোয়াই? সেক্সুয়াল এক্টে সক্রিয় অংশগ্রহণ আর নিষ্ক্রিয় উপস্থিতির মধ্যে যে সিরিয়াস ধরনের পার্থক্য আছে, এইটা কি উপমহাদেশীয় মেয়েরা জানেই না? এইগুলার বিপরীতে আমি উজ্জ্বল উদাহরণ পার্সোনাল লাইফে দেখেছি, কিন্তু এই বিষয়টা কি স্বীকার করতে আমাদের কোনো সমস্যা আছে যেঃ সেক্সুয়াল ডিপ্রাইভেশন বাঙালি পুরুষকে বানিয়েছে পারভার্ট, আর বাঙালি নারীকে বানিয়েছে ইনএকটিভ?

পর্নহাব বা এক্সভিডিওজ ধরনের সাইটে দেখবেনঃ ফ্রি পর্নের দৈর্ঘ্য পাঁচ মিনিট। শ্যুট পুরাটাই করা হইছে, কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এফোর্ড করতে পারতেছে ওই পাঁচ মিনিটই। তার মানেটা হইলো, এসেনশিয়ালি “অনলাইনে” মানুষের সেক্সের পিছে দেয়ার মতো সময় কমতেছে, এবং কতো দ্রুত কাজটা করে ফেলা যায় — এই বিষয়ক টেন্ডেন্সি বাড়তেছে।

পেইড পর্ন সাইটে এইসব ভিডিওর পুরো ভার্শন পাওয়া যায়। পুরো ভার্শনের কাস্টোমার অবশ্যই আছে, তা নাহলে এই সাইটগুলো সার্ভাইভ করতে পারার কথা ছিলোনা। সমস্যা হচ্ছে, ফ্রি এক্সেস পর্ন এই যে আপনাকে একটা পাঁচ মিনিটের উইন্ডোর মধ্যে আটকায়ে ফেলতেছে, এবং আপনি চাইলেই একটা পর্ন পছন্দ না হইলে আরেকটায় সুইচ করে ফেলতে পারতেছেন — এই দৌড়ানি কিন্তু মহা ডেঞ্জারাস।

কিছুদিন আগে যে “দোস্ত আই লাভিউ, ন্যুড দে” স্ক্রিনশট ভাইরাল হইলো — চিন্তা করেন। এতো ইজি? এতো কম সময়ে? এইটার পিছে এই পাঁচ মিনিট দৈর্ঘ্যের “ইজি” পর্নের কনজিউমার হওয়ার গ্লোবাল এপিডেমিক্যাল টেন্ডেন্সির কোনো কানেকশন আছে কিনা, এইটা নিয়ে ভাবতে পারেন।

ইজিলি পেয়ে যাওয়ার অভ্যাস, দ্রুত কাজ শেষ করার এই মহামারী প্রবণতা — ইন্দ্রিয়প্রবণ প্রাণী হিসাবে আপনার অত্যন্ত নাজুক একটা ক্ষমতার, মানে যৌনক্ষমতার বারোটা বাজাচ্ছে কিনা, এইটা মাথায় রাখতে হবে।

আমি একদিন, জাস্ট মিনিটখানেক একটা পর্ন দেখে বন্ধ করে দিয়েছি। সাথে সাথে ফেসবুকের হোমপেইজে বিজ্ঞাপন চলে এসেছে, আপনি কি অক্ষম? আমাদের ওষুধ আছে। এই পিল আপনাকে বারো ঘন্টা পর্যন্ত…. ইউ নো, আইফেল টাওয়ার ইত্যাদি বানিয়ে রাখবে।

কেয়া বাৎ হ্যায়! মানে হইলো, এই সব শালারা ভাই-ব্রাদার লেভেলে কানেক্টেড। প্রথমে এরা আপনাকে অসুস্থ বানাবে, এরপর সেই অসুখের ওষুধ আপনার কাছে বেচবে। মজা না? পর্ন দেখবেন তাতে কোনো সমস্যা নাই, আপত্তিও নাই।

মেশিন এবং লাগাম — দুইটাই যাতে আপনার হাতে থাকে।

যে কোনো কাজ — দ্রুত শেষ হওয়া ভালো। ওই একটা কাজ বাদ দিয়ে।

খেলা হবে, তবে একটু আস্তে। ওকে?

--

--